গাংনী প্রতিনিধিঃ এবার গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলায় আম ও জাম ফলের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিভিন্ন গ্রামে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, গাছভর্তি আম ও জাম ঝুঁকে পড়েছে ভারে, আবার অনেক ফল গাছ থেকে পড়ে মাটিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় চাষিরা জানান, “এইবার ফলন ভালো হলেও বাজারে চাহিদা কম। দামও অনেক কম। একেবারে লোকসান দিয়ে ফল বিক্রি করতে হচ্ছে।” অনেক জায়গায় দেখা গেছে, আম ও জাম পড়ে আছে গাছের নিচে, কেউ কুড়াতে পর্যন্ত আসছে না। গ্রামীণ মানুষজন অতিরিক্ত ফল সংরক্ষণের উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় তা বিক্রিও করতে পারছে না।
বিশেষ করে জাম ফল দ্রুত পচে যাওয়ায় অনেক কৃষক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তা বাজারজাত করতে পারছে না। আম কিছুটা সময় রাখা গেলেও, আধুনিক প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণের অভাবে তা থেকেও লাভবান হওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় বিশ্লেষকদের মতে, বিদেশি প্রযুক্তি ও সংরক্ষণ পদ্ধতি যদি গ্রামীণ পর্যায়ে ব্যবহার করা যেত, তাহলে চাষিরা আম ও জাম দিয়ে জুস, জ্যাম, শুকনো ফল ইত্যাদি বানিয়ে সারা বছর বিক্রি করতে পারত। এতে একদিকে যেমন অপচয় কমত, অন্যদিকে বাড়ত আয়, আর সমৃদ্ধ হতো গ্রামের পরিবারগুলো।
এই বিষয়ে একাধিক কৃষক জানান, “সরকারি বা বেসরকারি সহায়তা পেলে আমরা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারতাম। কিন্তু এখন ফল নষ্ট হতে দেখে শুধু মন খারাপ করা ছাড়া কিছুই করার নাই।”
মেহেরপুর নিউজ টোয়েন্টিফোর সরেজমিনে গাংনীর বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে এই চিত্র প্রত্যক্ষ করেছে।
এখন প্রয়োজন সময়োপযোগী পদক্ষেপ যেন এই প্রাকৃতিক সম্পদ আর অপচয় না হয়, বরং গ্রামের উন্নয়নের হাতিয়ার হয়ে ওঠে।
আপনার মতামত লিখুন :