গাছ রক্ষার মিছিলে জাবি শিক্ষার্থীরা


স্টাফ রিপোর্টার, মেহেরপুর বার্তা টোয়েন্টিফোর প্রকাশের সময় : জুলাই ১৮, ২০১৯, ১০:৩৩ অপরাহ্ণ /
গাছ রক্ষার মিছিলে জাবি শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক,জাবিঃ
নির্বিচারে গাছ কর্তন। অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার দাবিতে বৃহষ্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষার্থী ঐক্যমঞ্চ।
দুপুর সাড়ে বারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টারজান পয়েন্ট থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও অনুষদ প্রদক্ষিণ করে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এসময় দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ ভূঞা বলেন, ” বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উন্নয়নের নামে পরিকল্পনা বিহীন ভবন নির্মাণের উদ্যেগ নিয়েছে। গতকাল সিনেট ভবনে মহাপরিকল্পনার নামে মনগড়া অসম্পূর্ণ একটি নকশা দেখানো হয়েছে। যেখানে শুধু কতগুলো বিল্ডিংয়ের নকশা দেখানো হয়েছে তবে অবস্থান স্পষ্ট করা হয়নি। উপাচার্য সেখানে ডেকে নিয়ে কতিপয় ছাত্রদের ও তার অনুগত শিক্ষকদের দ্বারা আমাদেরকে অসম্মান করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।”

অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় তড়িঘড়ি করে একনেকে পাশ করানোর জন্য একটি পরিকল্পনা করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির সম্মুখীন হবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হুমকিতে পড়বে। তিনি সব পক্ষের কথা বিবেচনায় নিয়ে যথোপযুক্ত পরিকল্পনার আহ্বান জানান ।

সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদেরই আলোচনার জন্য ডেকে নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে জানিয়ে দিলেন। আমরা প্রশাসনের এ ধরণের স্বৈরতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের নিন্দা জানাচ্ছি। নিম গাছ থেকে কখনো মিষ্টি আম আশা করা যায় না। তিনি বলেন ব্যর্থ প্রশাসনকে কার্যকর না করে যত হলই নির্মাণ করা হোক না কেন,সীট সংকট সমাধান হবে না। ”

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নাল আবেদিন শিশির বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সবার। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে যেন কোন উন্নয়নে আমরা প্রশাসনকে সহযোগিতা করব। তিনি বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে ছাত্রদের মতাতমত বিবেচনায় সিদ্ধান্ত পুনঃমুল্যায়নের আহ্বান জানাচ্ছি।”

গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সামনে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা তুলে ধরা হয়ে। এসময় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ প্রকল্প বিশ্লেষণের জন্য তিন মাস সময় দাবি করেন।